মহিলাদের জন্য রক্ত ​​পরীক্ষাঃ বিস্তারিত আলোচনা

বাংলা

রক্ত পরীক্ষা সাধারণ চিকিৎসা পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা দেখার জন্য ডাক্তাররা রক্ত ​​​​পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

রক্ত আপনার শরীরের মধ্যে একটি অন্তর্দৃষ্টি। এই পরীক্ষাটি কোনো রোগ নির্ণয় করে না। বরং আপনার যদি অনিয়মিত উপসর্গ থাকে তবে তা থেকে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন ধরনের রক্ত ​​পরীক্ষা রয়েছে, যেমন প্রজনন হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা, রক্তকোষ এবং প্লেটলেট গণনা করা, কোনো অঙ্গের প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করা, খনিজ ও প্রোটিন পরীক্ষা করা ইত্যাদি।

মহিলাদের জন্য কিছু সাধারণ ধরনের রক্ত ​​পরীক্ষা হল হরমোন পরীক্ষা, এইচসিজি পরীক্ষা, সম্পূর্ণ রক্তের গণনা, থাইরয়েড ফাংশন পরীক্ষা, এসটিআই, কিডনি প্রোফাইল পরীক্ষা, সুগার পরীক্ষা, ইত্যাদি।

কেন আমার রক্ত ​​​​পরীক্ষা প্রয়োজন?

আপনার বর্তমান স্বাস্থ্য বুঝার জন্যঃ প্রতি কয়েক মাস পর পর নিয়মিত রক্ত ​​​​পরীক্ষা করানো প্রয়োজন, বিশেষ করে বার্ধক্যকালে। এটি আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য এবং পরিবর্তনের দিকে নজর রাখতে সাহায্য করে।

অনিয়মিত উপসর্গের কারণ খুঁজে বের করার জন্যঃ দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ মানুষ যখন অস্ভাবিক লক্ষণগুলির মুখোমুখি হন তখনই ডাক্তারের কাছে যান। আপনার ডাক্তার আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ​​পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।

বর্তমান চিকিৎসার অগ্রগতি দেখতেঃ আপনি যদি কোনো ধরনের চিকিৎসার অধীনে থাকেন, তার অগ্রগতি দেখতে আপনার নিয়মিত রক্ত ​​পরীক্ষার প্রয়োজন হবে ।

ঝুঁকিতে আছেন কিনা তা খুঁজে বের করতেঃ রক্ত ​​পরীক্ষা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং আরও রোগের জন্য চিহ্নিতকারী হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমি কিভাবে রক্ত ​​​​পরীক্ষা করতে পারি?

আপনি যখন একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেন বা হাসপাতালে যান, তখন আপনার অবস্থা অনুযায়ী আপনাকে রক্ত ​​পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হবে।

হাসপাতালে নার্সরা পরীক্ষার জন্য আপনার রক্ত ​​নেবে। ক্লিনিকগুলিতে আপনাকে রক্ত ​​পরীক্ষার জন্য সেন্টারে যেতে বলা হবে।

কিভাবে রক্ত ​​​​পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ?

অনেক সময় হাসপাতালে যাওয়ার পর আপনাকে তাৎক্ষণিক রক্ত ​​পরীক্ষা করতে বলা হবে। এই ক্ষেত্রে প্রস্তুতির সময় নেই।

অন্যদিকে, কয়েকটি নির্দিষ্ট রক্ত ​​​​পরীক্ষার জন্য দিনব্যাপী উপবাস (শুধু পানিগ্রহণ) করা প্রয়োজন। যদি আপনি রক্ত ​​​​জমাট প্রতিরোধ করার জন্য অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট ওষুধ সেবন করেন তবে আপনাকে আগেরদিন সেবন বন্ধ রাখতে হবে। আপনার কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে সে সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

রক্ত ​​পরীক্ষা কিভাবে করা হয়?

রক্ত পরীক্ষা ১০ - ১৫ মিনিটের বেশি সময় নেয় না। একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসাকর্মী আপনার রক্ত গ্রহণ করবেন।

রক্ত সাধারণত হাতের জয়েন্ট বা কনুই, কব্জি বা আঙুলের ভিতর থেকে নেওয়া হয়।

আপনার হাতের চারপাশে একটি টর্নিকেট বাঁধা হবে। একবার চাপ তৈরি হয়ে গেলে, অনুশীলনকারী শিরা খুঁজে পাবেন এবং অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।

রক্ত ​​নিতে সুই ব্যবহার করা হয়। আপনি প্রথম ১-২ সেকেন্ড একটি তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব করতে পারেন। সুইটির অন্যদিক রক্তের শিশির সাথে সংযুক্ত থাকবে যা আপনার রক্ত ​​সংগ্রহ করবে। এই শিশিটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

চিকিৎসাকর্মী সুই বের করে নিলে, তারা আপনাকে পরিষ্কার করতে তুলো ব্যবহার করবে এবং রক্ত গ্রহণের স্থানের উপর ব্যান্ডাইড দিবে। কিছু ফোলা প্রত্যাশিত কিন্তু এটি কয়েক মুহূর্ত পরে চলে যায়।

আপনি পরের দিন বা কয়েক দিন পরে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন।

ফলাফল

যদি পরিক্ষার লেভেল স্বাভাবিক হয়, তার মানে আপনি ভাল অবস্থায় আছেন। কিন্তু, যদি আপনি অস্বভাবিক লক্ষণ খেয়াল করেন এবং ​​​​পরীক্ষার ফলাফল সাভাবিক পান তবে আপনার ডাক্তার বিস্তারিত তদন্তের জন্য আরও মেডিকেল পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।

একইভাবে, একটি অস্বাভাবিক রক্ত ​​​​পরীক্ষা সবসময় একটি খারাপ রোগ বুঝায় না। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য একজন ডাক্তার বা স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

রক্ত পরীক্ষার প্রকারভেদ

সম্পূর্ণ রক্ত কণিকা গণনা (CBC)

সিবিসি সাধারণ রক্ত ​​পরীক্ষার মধ্যে একটি। সাধারণত, এটি রুটিন চেকআপ এবং চিকিৎসা অগ্রগতি চেকআপের অংশ। এই রক্ত ​​পরীক্ষা আপনার লোহিত রক্ত ​​কণিকা (RBC), সাদা রক্ত ​​কণিকা (WBC) এবং প্লেটলেট পরীক্ষা করে।

লোহিত রক্তকণিকার উচ্চ মাত্রা অস্থি মজ্জার সমস্যা, ডিহাইড্রেশন, পালমোনেল (ডান দিকের হার্টের সমস্যা) ইত্যাদি নির্দেশ করতে পারে।

লোহিত রক্তকণিকার নিম্ন মাত্রা এনিমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মহিলাদের মধ্যে এটি বেশ সাধারণ। কম গণনা কিডনি সমস্যা, থ্যালাসেমিয়া, অপুষ্টি, অভ্যন্তরীণ রক্তপাত এবং আরও অনেক কিছুর জন্য সংকেত হতে পারে।

অস্বাভাবিক শ্বেত রক্তকণিকা সংক্রমণ, অ্যালার্জি, প্রদাহ, ইমিউন সিস্টেমের রোগ, ব্লাড ক্যান্সার ইত্যাদি নির্দেশ করে।

অস্বাভাবিক প্লেটলেট রক্ত ​​জমাট বা রক্তপাত বুঝাতে পারে।

বেসিক মেটাবলিক প্যানেল (BMP)

রক্তের খনিজ, গ্লুকোজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক রাসায়নিকের মূল্যায়ন করার জন্য BMP পরীক্ষা দেয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করা হয়। এটি অঙ্গের কার্যকারিতা, বিশেষ করে কিডনি, ইলেক্ট্রোলাইট, এবং শরীরের তরল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

একটি মৌলিক বিপাকীয় প্যানেল পরীক্ষা শরীরের আটটি পদার্থ পরিদর্শন করে। সেগুলো হল ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, গ্লুকোজ, বাইকার্বনেট, ক্রিয়েটিনিন এবং রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেন (BUN)।

আপনার এই রক্ত ​​​​পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম ৮ ঘন্টা আগে উপবাস করতে হতে পারে।

অস্বাভাবিক ফলাফল ডায়াবেটিস (উচ্চ গ্লুকোজ), কিডনির সমস্যা (উচ্চ ক্রিয়েটিনিন এবং সোডিয়াম), শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত ইলেক্ট্রোলাইট মাত্রা, এবং আরও অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ডায়াবেটিস রক্ত ​​পরীক্ষা

ডায়াবেটিসের জন্য একটি নির্দষ্ট রক্ত ​​পরীক্ষা নেই। এই রোগ সনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে।

ডায়াবেটিক পুরুষের তুলনায় ডায়াবেটিক নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই একটি বিশাল ঝুঁকি।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত লোকের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অন্য যেকোনো গ্রুপের তুলনায় বেশি। ২৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।

A1C পরীক্ষাঃ এটি গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা নামেও পরিচিত কারণ এটি হিমোগ্লোবিনের চিনির শতাংশ পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষাটি বিগত দুই থেকে তিন মাসের গড় রক্তে শর্করার মাত্রা দেখায়। এটি পরীক্ষা করার আগে আপনাকে রোজা রাখতে হবে।

৫.৭ % এর নিচে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, ৬.৫ % বা তার বেশি মানে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। এই দুটির মধ্যকার শতাংশগুলি প্রিডায়াবেটিস নির্দেশ করে।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্টঃ এই সুগার টেস্টের জন্য আপনাকে আগের রাতে রোজা রাখতে হবে। ১২৬ mg/dL বা তার বেশি রক্তে শর্করার মাত্রা মানে আপনার ডায়াবেটিস আছে।

র‍্যান্ডম ব্লাড সুগার টেস্টঃ এই পরীক্ষার জন্য রোজা রাখার দরকার নেই। আপনার শেষ খাবার নির্বিশেষে যেকোনো সময় পরীক্ষাটি করতে পারেন। ২০০ mg/dL বা তার বেশি চিনির মাত্রা ডায়াবেটিসের সংকেত দেয়।

হরমোন রক্ত ​​পরীক্ষা

মহিলাদের জন্য হরমোন রক্ত ​​পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীর লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করে এবং এই পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাসিক চক্র এবং এর পরিবর্তনের কারণে মহিলারা অনেক অনিয়মিত উপসর্গের সম্মুখীন হন।

আমাদের হরমোন সবসময় ওঠানামা করে। যেহেতু হরমোন আমাদের পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে, তাই আমাদের পুরো শরীর ব্যাহত হয়। আপনি যদি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির মুখোমুখি হন তবে আপনার পরীক্ষা করা উচিতঃ

  • অনিয়মিত মাসিক চক্র
  • অনুপস্থিত মাসিক চক্র
  • ভারী এবং বেদনাদায়ক মাসিক রক্তপাত
  • PCOS উপসর্গ বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ (টাক, শরীরের অতিরিক্ত চুল, ব্রণ)
  • মেনোপজের লক্ষণ (গরম ঝলকানি, যোনি শুষ্কতা, মেজাজ পরিবর্তন)
  • বন্ধ্যাত্ব
  • অস্বাভাবিক যোনি রক্তপাত
  • বিলম্বিত যৌবণ বিকাশ
  • এই হরমোনগুলি সাধারণত পরীক্ষা করা হয়ঃ
  • ইস্ট্রোজেন
  • প্রোজেস্টেরন
  • টেস্টোস্টেরন
  • ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH)
  • থাইরয়েড হরমোন
  • গ্রোথ হরমোন

আপনার ডাক্তার আপনার লক্ষণ এবং উদ্বেগ অনুযায়ী কর্টিসল, গ্লুকোজ, মেলাটোনিন, সেরোটোনিন, গ্রোথ হরমোন এবং আরও অনেক কিছুর জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

এইচসিজি রক্ত ​​পরীক্ষা

এটি অন্য ধরনের হরমোন রক্ত ​​পরীক্ষা যা গর্ভাবস্থা নির্ধারণের জন্য করা হয়। এই পরীক্ষাটি আপনার রক্তে hCG হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে। কিছু লোক এইচসিজি পরীক্ষার জন্য প্রস্রাব পদ্ধতি বেছে নেয়, যেমন বাসায় গর্ভাবস্থা পরীক্ষা।

রক্ত পরীক্ষা হোম প্রেগন্যান্সি কিটের থেকে বেশি সঠিকভাবেগর্ভাবস্থা নির্ণয় করতে পারে। আপনি গর্ভবতী হওয়ার মাত্র 7-10 দিন পরে hCG-এর ক্ষুদ্রতম পরিমাণ সনাক্ত করা যায়।

এইচসিজি রক্ত ​​পরীক্ষা আপনার গর্ভাবস্থার সাথে আপডেট রাখতেও সাহায্য করতে পারে কারণ আপনি যখন গর্ভাবস্থায় থাকেন তখন এইচসিজি হরমোন তৈরি হয়। একবার নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ু বা গর্ভাশয়ে ইমপ্লান্ট করলে, প্লাসেন্টা এই হরমোন তৈরি করতে শুরু করে। গর্ভাবস্থার সাথে সাথে এর মাত্রা বাড়তে থাকবে।

এর ব্যতীত, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সার (পুরুষদের জন্য) শরীরে এইচসিজি তৈরি করে। আপনার যদি সন্দেহ থাকে বা আপনার রোগ নিরীক্ষণ করতে চান তবে আপনি এই রক্ত ​​পরীক্ষাটিও ব্যবহার করতে পারেন। উচ্চ এইচসিজি মাত্রা মানে রোগের বিস্তার।

অন্যান্য রক্ত ​​​​পরীক্ষাঃ

  • লিপোপ্রোটিন প্যানেল
  • কম্প্রিহেনসিভ মেটাবলিক প্যানেল (CMP)
  • রক্ত জমাট বাঁধা পরীক্ষা
  • অস্থি মজ্জা পরীক্ষা
  • রক্তের এনজাইম পরীক্ষা
  • ইলেক্ট্রোলাইট প্যানেল

সারসংক্ষেপ

আপনি যদি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন তবে রক্ত ​​পরীক্ষা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। আপনার রক্ত ​​সহজেই আপনার শরীরের অনিয়ম নির্দেশ করতে পারে। আপনার লক্ষণগুলির উপর নির্ভর করে, আপনার ডাক্তার একটি নির্দিষ্ট ধরণের রক্ত ​​​​পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন।

মহিলাদের জন্য, সিবিসি, হরমোন পরীক্ষা, গর্ভাবস্থা পরীক্ষা, গ্লুকোজ পরীক্ষা এবং সিএমপি শুধুমাত্র প্রজনন স্বাস্থ্য নয় বরং সামগ্রিক সুস্থতাকেও সাহায্য করতে পারে।

Download Chondo App

Track your period and get notified.

Download

Beta

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।