বাড়িতে কীভাবে গর্ভাবস্থা বা প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন

গর্ভাবস্থা অনেক মহিলাদের জন্য আনন্দদায়ক সময়। তবে, অনেক মহিলা এটি ভয় পান। একটি পসিটিভ প্রেগন্যান্সি টেস্ট ফলাফল আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

আপনি যদি আপনার পিরিয়ড মিস করেন, প্রটেকশন ছাড়া যৌনমিলন করেন বা চিন্তিত হন যে আপনি গর্ভধারণ করেছেন, আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত।

আপনি গর্ভবতী কিনা তা খুঁজে বের করার সবচেয়ে নির্ভুল উপায় হল আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা । তবে, আপনি যদি এখনও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে না চান, তাহলে বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা সম্ভব!

সত্যি বলতে, এটি কঠিন কোনো বিষয় নয়।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিট ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগের দাম ১০০ টাকা এর নিচে। কয়েকটির মূল্য কম, প্রায় ৪০ টাকা এর মতো। ব্যবহার প্রক্রিয়াও সহজ। আপনার শুধু সঠিক সময় অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কিভাবে কাজ করে

এখন আপনি ভাবতে পারেন যে কেউ গর্ভবতী কিনা সেটা কিভাবে একটি লাঠি বা স্টিক নির্ধারণ করে।

যখন একটি ডিম নিষিক্ত হয় এবং জরায়ুর দেয়ালে ইমপ্লান্ট হয়, আপনি গর্ভবতী হন। ইমপ্লান্টেশনের পরে, আপনার শরীর এইচসিজি (hCG) নামক একটি হরমোন তৈরি করতে শুরু করে।

গর্ভাবস্থার পরীক্ষাগুলি সনাক্ত করে যে আপনার প্রস্রাবে এইচসিজি (hCG) আছে কি না। সাধারণত 20mIU থাকা ইতিবাচক ফলাফলের জন্য যথেষ্ট।

কখন গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে হবে

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার সর্বোত্তম সময় হল সহবাসের তিন সপ্তাহ পর। আপনি যদি পিরিয়ড মিস করেন, আপনি পরের দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে করতে পারেন।

কিভাবে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে হয়

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিট কেনার পর, কাগজে দেয়া নির্দেশাবলী পড়ুন। আরো নির্ভুল ফলাফলের জন্য, আপনি দুটি পৃথক প্রেগন্যান্সি টেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। নিশ্চিত করুন যে টেস্টগুলি নতুন এবং মেয়াদউত্তীর্ণ হয়নি।

প্রেগন্যান্সি টেস্টের জন্য, প্রস্রাব সংগ্রহের একটি পরিষ্কার কাপ, আপনার পরীক্ষার স্টিক, এবং একটি টাইমার নিন। গর্ভাবস্থার পরীক্ষার আগে সবসময় আপনার হাত পরিষ্কার করবেন।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা সকালে করবেন। সেই সমযে আমাদের প্রস্রাব বেশি ঘন থাকে। প্রথম যে প্রস্রাব বের হয় তা ব্যবহার করবেন না। আগে একটু প্রস্রাব করে নিন এবং মাঝপথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করুন।

কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রে, স্টিকের শোষণকারী দিকটি ৫-১০ সেকেন্ডের জন্য ডুবিয়ে রাখা প্রয়োজন। তাছাড়া, আপনার পরীক্ষা কীটের সাথে ড্রপার থাকে, তাহলে কাপ থেকে প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং পরীক্ষার টিপে রাখুন। আবার যদি আপনি ডাইরেক্ট স্টিক বেবহার করেন অর্থাৎ টেস্টে সরাসরি প্রস্রাব করতে হয় তবে শোষণকারী দিকের উপর প্রস্রাব করুন। বেশিরভাগ পরীক্ষার জন্য আপনাকে ৫-১০ সেকেন্ডের জন্য প্রস্রাব করতে হবে।

অপেক্ষা করার সময় ফলাফলের দিকটি সর্বদা উপরের দিকে রাখা করা উচিত। প্রতিটি পরীক্ষায় ৩-১০ মিনিট মতো আলাদা অপেক্ষার সময় থাকে। সঠিক সময়টি জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যদি খুব বেশি সময় অপেক্ষা করেন, তাহলে একটি বাষ্পীভবন লাইন আবির্ভাব হবে এবং ফলাফল এলোমেলো করে দেবে।

গর্ভাবস্থার সূচকের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। কিছু পরীক্ষা একটি একক গোলাপী/নীল/লাল রেখা দেখায়। কয়েকটি টেস্ট একটি প্লাস (+) চিহ্ন বা 'গর্ভবতী' (Pregnant) শব্দটি দেখাতে পারে। ফলাফলের দিকটি রঙ পরিবর্তন করে গর্ভাবস্থা নির্দেশ করতে পারে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, নেতিবাচক ফলাফল লাইন হিসাবে দেখানো হয় না। সুতরাং, যদি আপনি কোন আলো বা ছোট লাইন সনাক্ত করেন, ফলাফলটিকে ইতিবাচক হিসাবে বিবেচনা করুন। যদি আপনার পরীক্ষা ইতিবাচক হয়, তাহলে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং আপনার গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করুন।

কিন্তু, যদি আপনার ফলাফল নেতিবাচক হয়, তবে আপনার এক সপ্তাহ পরে আরেকটি পরীক্ষা করা উচিত কারণ ডিম্বস্ফোটনের দিনগুলি বিলম্বিত হতে পারে। এর আগে আপনার প্রস্রাবে সঠিক পরিমাণে এইচসিজি (hCG) নাও থাকতে পারে। যদি এটি তখনও নেতিবাচক হয় কিন্তু আপনি আপনার পিরিয়ড শুরু না করে থাকেন, তাহলে কি সমস্যা থাকতে পারে তা জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

Download Chondo App

Track your period and get notified.

Download

Beta

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।