|

আপনার মাসিক কি নিয়মিত?


বাংলা

মাসিক শুরু হওয়া মানেই কিন্তু এই নয় যে এখন থেকে নিয়মিত মাসিক হবে।মাসিক নিয়মিত হতে কয়েক বছর সময় লাগে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা ১৮ বছর বয়সের পরে একটি স্থিতিশীল পিরিয়ড রুটিনে পৌঁছায়।

মেয়েদের সাধারণত ১২-১৫ বছর বয়সের মধ্যে মাসিক বা পিরিয়ড হয়। কিন্তু কারো আবার দশ বছর বয়সেই মাসিক শুরু হতে পারে। চিকিতস্যাবিজ্ঞানের ভাষায় প্রথম পিরিয়ডকে বলা হয় ‘মেনার্কি;menarche’.

বয়ঃসন্ধির শুরুতেই যে পিরিয়ড হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। আপনি কি জানেন, বয়ঃসন্ধির শেষ নির্দেশকগুলির মধ্যে মাসিক একটি? যেমন ধরুন, মেয়েদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে তাদের স্তনের বিকাশ ঘটে এবং যোনি স্রাব হতে শুরু করে। যোনি স্রাব একটি সাদা-ঘন তরল যা যোনিকে পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এটি সাধারণত তাদের প্রথম মাসিক হওয়ার ৬-১২ মাস আগে হতে থাকে।

অনেক মহিলা ভয় পান যে অনিয়মিত মাসিক হয়ত বড় কোন রোগ নির্দেশ করে। যদিও এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য, কিন্তু কিশোরী দেহকে পিরিয়ড এ অভ্যস্ত করার জন্য সময় এর প্রয়োজন।

নিয়মিত পিরিয়ড

পুরো মাসিক চক্র বা পিরিয়ড সাইকেল সাধারণত ২৪-৩৮ দিন এর হয়। তবে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের মাসিক চক্র মাঝে মাঝে ২০-৪৫ দিন এরও হতে পারে।

প্রথম দুই বছর হল শরীরের অভ্যস্ত হওয়ার সময়কাল। সব মেয়েদের ই, একটি নির্দিষ্ট সাইকেল এ অভ্যস্ত হওয়ার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। সুতরাং, ওই বয়সটায় কয়েক দিনের পার্থক্য বড় ব্যাপার নয়।

সেক্ষেত্রে মাসিকের ভিন্নতাও থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, একটি মাসিক ৩ দিন স্থায়ী হলো এবং তার পরবর্তী মাসিকটি ৬ দিন স্থায়ী হচ্ছে। এমনকি দেখা যাচ্ছে রক্তের প্রবাহও ভিন্ন হচ্ছে।

আপনার পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কিভাবে বুঝবেন?

নিয়মিত পিরিয়ড এবং অনিয়মিত পিরিয়ড একে অপরের থেকে আলাদা। আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হন এবং আপনি যদি ২ বা ৩ মাস পিরিয়ড মিস করেন, তবে তা স্বাভাবিক নয়।। এটি আপনার ডিম্বস্ফোটন চক্র বন্ধ রয়েছে তা নির্দেশ করে।

অতিরিক্ত শারীরিক ওজন এবং মানসিক চাপ এর কারণে আপনি পিরিয়ড মিস করতে পারেন। কিন্তু আপনার মাসিক চক্র ৫০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে এটি চিন্তার বিষয়। আপনার মাসিকের দৈর্ঘ্য সাত দিনের বেশি হওয়া কথা নয়, তাই এমনটি হতে আপনাকে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলতে হবে এবং প্রয়োজনে হরমোন পরীক্ষা করতে হবে।

পিরিয়ডের কারণে শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তার মধ্যে, ক্র্যাম্প অর্থাৎ তলপেটে ব্যাথা, খিটখিটে মেজাজ, বমি বমি ভাব হল প্রধান। তবে কোন উপসর্গ অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেলে আপনার একটি চেক-আপ প্রয়োজন।

Download Chondo App

Track your period and get notified.

Download

Beta

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।