পিরিয়ডের রক্তের রঙ দেখে জানুন শরীরের সম্পর্কে
আপনি কি জানেন পিরিয়ডের রক্ত কি? পিরিয়ডের রক্ত কোথা থেকে আসে?
ডিম্বাশয় দ্বারা নির্গত ডিম্বাণু যদি নিষিক্ত না হয়, তাহলে ডিম্বস্ফোটনের ১৪ দিন পরে জরায়ু তার পুরু অভ্যন্তরীণ দেয়াল ধীরে ধীরে বের করে দেয়।
এই অতিরিক্ত রক্ত বের হয়ে যায় কারণ এটি আপনার শরীরের ভিতরে থাকতে পারে না। একে আমরা ‘পিরিয়ড’ বা ‘ঋতুস্রাব’ বলে থাকি।
লাল বা বাদামীঃ
লাল এবং লালচে-বাদামী স্বাভাবিক সময়ের রক্তের রং। উজ্জ্বল লাল মানে তাজা রক্ত বের হচ্ছে। তবে চুলকানি ও দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব একই সঙ্গে হয়ে থাকে তবে, তা ক্যান্সারের মতো বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে।
আপনার যদি গাঢ় লাল রক্ত থাকে তবে এটি কিন্তু নোংরা নয়। এর মানে রক্ত জরায়ুতে অনেকক্ষণ রয়ে গিয়েছে এবং অক্সিজেনের সাথে মিশে যেতে শুরু করেছে। অক্সিডাইজড রক্তের রং গাঢ় হয়ে থাকে।
কালোঃ
অনেক সময় পিরিয়ডের রক্ত কালো হতে পারে। তবে এটি সাধারণত প্রথম দিনেই ঘটে। কিন্তু যদি আপনার পিরিয়ডের রক্ত দ্বিতীয় দিনের পরে কালো হয়ে থাকে তবে এটি যোনিপথে বাধা বা ভাজাইনাল ব্লকেজ এর লক্ষন হতে পারে।
আপনার যদি প্রস্রাব করতে সমস্যা হয়, প্রচন্ড চুলকানি এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয় তবে আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে দ্রুত পরামর্শ করতে হবে।
গোলাপী বা কমলাঃ
পিরিয়ড রক্তে অন্যান্য রং ও প্রদর্শিত হতে পারে। আপনার মাসিক থেকে রক্ত যখন সার্ভিকাল তরলের সংস্পর্শে আসে তখন তা হালকা হয়ে যায়। একারনে রক্তের রং গোলাপী বা কমলা হিসাবে দেখাতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ একটি নেতিবাচক প্রভাব হিসাবে মাসিক এর রক্ত গোলাপী হতে পারে। তাছাড়া, এটি যোনিতে ক্ষত বা ভাজাইনাল টিয়ার বা রক্তাল্পতার কারণেও মাসিক এর রক্ত গোলাপী হতে পারে।
কমলা রঙের রক্ত নির্দেশক হতে পারে সম্ভাব্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এর। ঘটনাটি এমন না হওয়ার সম্ভবনা না থাকলেও, আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আপনার পিরিয়ডের রক্তের রঙ সবসময় পরীক্ষা করুন, কারণ আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা বুঝতে এটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
Download Chondo App
Track your period and get notified.
Download
Beta