|

পিরিয়ড কীভাবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেঃ পিএমএস এবং পিএমডিডি বোঝার এবং নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি নির্দেশিকা

বাংলা

সন্ধ্যা মুখার্জির গান শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন কিশোরকুমার বাজছে – “একদিন পাখি উড়ে যাবে”। টুপুর আলসেতে বসে গান শুনছিল। হঠাৎ তার শরীরে অস্বস্তি শুরু হল। তলপেটে যে ব্যথা তার সঙ্গে সে অপরিচিত। এবং তখনই মনে হতে লাগল নিচের দিকটা ভিজে গেছে। সে চারপাশে তাকাল। গল্প করা বউয়েরা , খেলতে ব্যস্ত মেয়েগুলোর চেহারা তার কাছে ঝাপসা হয়ে গেল। একটা তীব্র ভয় তাকে জড়িয়ে ধরতেই সে চিৎকার করে ছুটতে লাগল ঘরের দরজার দিকে। বাবা সমরেন্দ্রনাথ মেয়ের চিৎকার শুনে কন্যার দিকে পূর্ণদৃষ্টিতে তাকিয়ে চমকে উঠলেন। কৃষ্ণা রান্নাঘরে ছিল। মেয়ের চিৎকার তার কানেও গেল। রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে মেয়েকে অদ্ভুতভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার নজর পায়ের দিকে গেল । টুপুরের ঠাকুর মা সৌদামিনী কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললেন “ভাড়ার ঘরে একটা বস্তা পেতে দাও। আপাতত ওখানে বসুক। নইলে সারা পৃথিবী ছোঁয়াছুঁয়ি করে দেবে” ।

উপরের অংশটুকু সমরেশ মজুমদারের “অগ্নিরথ” উপন্যাসের টুপুরের গল্প । তার প্রথম পিরিয়ড হওয়া এবং পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবুর একটা চিত্র এই উপন্যাসে উঠে আসে।

পিরিয়ড মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিমাসে একজন নারীর শরীর গর্ভধারণে প্রস্তুত হয়। যদি গর্ভধারণ না হয়, পিরিয়ড হবে। পিরিয়ডে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে বেশ কিছু মানসিক পরিবর্তন হয়।

পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হলেও এখনো মানুষ এই বিষয়ে কথা বলতে চায় না। আর অন্যদিকে মানসিক স্বাস্থ্য যে বরাবরই অবহেলিত তা তো কারো অজানা নয়। পিরিয়ডের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের গভীর একটি সংযোগ রয়েছে । ডাক্তাররা বলে থাকেন যে পিরিয়ডের ব্যথা হার্ট এটাকের মতোই পেইনফুল। এ সময় বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গের সাথে কিছু মানসিক উপসর্গের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন-

১। মন খারাপ লাগা বা কান্না পাওয়া

২। বিরক্ত লাগা

৩। মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটা

৪। খাবার খেতে অনীহা দেখা দেয়া

৫। ঘুমের সমস্যা হওয়া

৬। ওভারথিংক করা ইত্যাদি

এছাড়াও এই সময় মুড সুইং কমন একটা সিম্পটম। পিরিয়ড শুরুর কিছুদিন আগে থেকেই অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা খুব দ্রুত বদলাতে থাকে। প্রতি মাসের নির্দির্ষ্ট এই সময়ে অস্বস্তি, ক্রোধ, খিটখিটে মেজাজ থেকে শুরু করে কেউ কেউ মানসিকভাবে একেবেরে ব্রোকেন ফিল করে। সাধারণত এই লক্ষণগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় প্রি–মিনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের সিন্ড্রোম; যা সংক্ষেপে PMS নামে বেশি পরিচিত।

পিএমএসঃ

মুড সুইং সহ অন্যান্য যে উপসর্গ পরিলক্ষিত হয় তার বা পিএমএস এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ফিমেল হরমোনকেই দায়ী করে থাকেন। নারীদের পিরিয়ড সাইকেলকে কার্যক্রম অনুসারে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যার মধ্যে শেষ পর্যায়টিতে (লুটেইনাইজিইং পর্যায়) নারী পিএমএসে আক্রান্ত হন। এরপর শুরু হয় পিরিয়ড, অর্থাৎ নতুন সাইকেল বা চক্র। মেয়েদের শরীরে থাকা ফিমেল হরমোনের নিঃসরণ মাসের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম পরিমাণে হয়। একটা পিরিয়ড শেষ হলে প্রধান ফিমেল হরমোন ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে। ১৪-১৫ দিনের মাথায় তা পৌঁছে যায় তার সর্বোচ্চ মাত্রায়। যাকে বলে ওভল্যুশন (Ovulation) । এরপর তরতরিয়ে কমতে থাকে ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ। আবার পরের পিরিয়ড শুরুর পর থেকে অল্প অল্প করে নিঃসরণ বাড়ে। ইস্ট্রোজেনের এই ওঠা-নামা বা ফ্লাকচুয়েশন-ই মেয়েদের মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলে এবং পিএমএসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিছু গবেষণায় বলা হয়, নারীবিশেষ হরমোনগুলো (ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন) কিছু ব্রেইন কেমিক্যালকে কমিয়ে মুডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সেরেটোনিন। এ বিষয়ে আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে চিকিৎসকেরা মনে করেন। সেরেটোনিনের মাত্রা কমে গেলে হতাশা, বিষণ্ণতা, অস্থিরতা তৈরি হয়। এ ছাড়া পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে স্বাভাবিকভাবেই একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম শারীরিক বা মানসিক লক্ষণ দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই পেটের পেশিতে টান, খেতে অনিচ্ছা, শরীরে অস্বস্তি বা মাথাধরা ইত্যাদি জানান দেয়, এবার পিরিয়ড শুরু হবে। এদিকে, প্রোজেস্টেরন হরমোন ইস্ট্রোজেন হরমোন কে নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের মাত্রা কমে গেলে পিরিয়ড এর অনুপস্থিতি দেখা যায়। ফলে কারো কারো মধ্যে PCOS এর লক্ষণ দেখা যায়। এই ক্ষেত্রেও মুড সুইং সহ অন্যান্য অনেক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়।

কিভাবে বুঝবেন আপনার মুড সুইং হচ্ছে?

ছোট ছোট ব্যাপারেই হঠাৎ রেগে যাওয়া, স্বাভাবিক একটা ব্যাপার মেনে নিতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, অহেতুক চিন্তা করা মুড সুইংয়ের অন্যতম একটি লক্ষণ।

মন খারাপ হওয়াঃ

মাসের নির্দিষ্ট একটি সময়ে মন ভার হয়ে থাকলে, বিগত নানা ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মনের অজান্তেই হতাশা সৃষ্টি হলে বুঝতে হবে মুড সুইং হচ্ছে। শুধু ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন নয়, সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রাও এই সময় কমে যায় বলেই, মন খারাপের এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।

কান্নাকাটিঃ

পিএমএসের সময় এটি আরেকটি অতি সাধারণ ঘটনা। খুবই সামান্য কারণে মন খারাপ করে তা থেকে কান্না এলে এটি মুড সুইংয়ের একটি কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।

উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটিঃ

কাজ করতে করতে হঠাৎই মনে হলো আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না; আত্মবিশ্বাস কমে গেল নিমেষেই। দিনের বেশির ভাগ সময়েই এই উদ্বেগ তৈরি হলে এটিও পিএমএসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

অবসাদগ্রস্ততা

অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, কাজে অনীহা ইত্যাদিও মুড সুইংয়ের জন্য দায়ী।

পিএমডিডিঃ

PMDD (Premenstrual Dysphoric Disorder) হলো PMS এর সিভিয়ার ফর্ম। এটাকে মেন্টাল ইলনেসও

বলা হয়। পিএমএস এর তুলনায়, পিএমডিডি অতিরিক্ত মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এটি পিরিয়ড হওয়ার এক বা দুই সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়।

পিএমডিডি তে আক্রান্ত মেয়েরা অন্তত একটা প্রোমিনেন্ট ইমোশনাল এবং বিহেভিয়ারাল সিম্পটম্প এর সাথে স্ট্রাগল করে। পিএমডিডি হয়েছে নাকি তা নির্ণয় করার জন্য নিম্নোক্ত পাঁচটি বা তার বেশি লক্ষণ উপস্থিত থাকা আবশ্যক:

১) বিষণ্ণ মেজাজ (Sadness / Hopelessness)

2. Irritability or anger

৩) অমনোযোগী হওয়া

৪) একটা কাজ একবার করার পর দ্বিতীয়বার না করতে চাওয়া (এংগজাইটি / টেনশন)

৫) গম্ভীর হয়ে বসে থাকা (Extreme Moodiness)

৬) ক্ষুদা বৃদ্ধি

৭) অনিদ্রা বা খুব ঘুমের অনুভূতি অনুভব করা।

৮) অপ্রত্যাশিত বা অনিয়ন্ত্রিত অনুভব করা

সেরোটোনিন

সেরোটেনিন আমাদের ঘুম, মুড, ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সেরোটোনিন লেভেল কমে যাওয়ার সাথে পিএমএস এর মতোই পিএমডিডি এর সাথেও একটা সংযোগ রয়েছে। সেরোটোনিন ব্রেইনের নার্ভ সিংনাল ট্রান্সিমিট করতে সাহায্য করে । কিন্তু যখনই সেরেটোনিন লেভেল কমে যায় তখন এই সিস্টেম বাঁধাগ্রস্ত হয়। এবং এটি পিএমএস কে ট্রিগার করে যা পরবর্তীতে পিএমডিডি এর দিকে টার্ন করে। এই ক্ষেত্রে environmental and genetic কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে। যেমন – জেনেটিক ভ্যারিয়েশন এর কারণে হরমোনাল সেন্সিটিভিটি বেড়ে যায়। ফলে পিএমডিডি এর কারণে ডিপ্রেশন এবং এংজাইটি প্যানিক এর রিস্ক বেড়ে যায়।

এছাড়াও পিরিয়ড চলাকালীন সময় ফিজিক্যাল এবিউস, পারিবারিক কোন্দল বা জটিলতা , রিলেশনশিপ এর জটিলতা ইত্যাদি বিষয় মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা PMDD এর সিম্পটমগুলোকে প্রভাবিত করে এবং মানসিক সমস্যার রিস্কগুলো ইনটেন্স করে দেয়।

আর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিরিয়ড চলাকালীন সময় যে হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরি হয় তা ওসিডি সিম্পটম কে ট্রিগার করে। premenstrual phase (the six days before menstruation starts) অথবা পিরিয়ড এর প্রথম কয়েকটা দিন লো ইস্ট্রোজন এর কারণে ওসিডি এর সিম্পটম গুলো তীব্রভাবে প্রকাশ পেতে পারে। খুব রেয়ার হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে Hair pilling disorder এর সিম্পটম দেখা যায়।

মানসিক যে রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো তৈরি হতে পারেঃ

Depression

OCD

কম আত্মবিশ্বাস

এংজাইটি

আহার ব্যাধি

নিজের শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগা

পিটিএসডি (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার)

এই সময়ে কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেনঃ

পিএমএস-এর জন্যে কখনো কখনো আপনার মনে হতে পারে পিরিয়ড আপনার প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে,সব কিছু জটিল করে তুলছে। এবং এই সময় মেয়েরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিভিন্ন রকম জটিলতার মুখোমুখি হয়। তাই এই সময় হাইজিন মেনে শারীরিক যত্নের পাশাপাশি কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন সে বিষয়ে ছোট ছোট কিছু টিপস উল্ল্যেখ করছিঃ

ব্রিদিং এক্সারসাইজঃ

আমরা প্রতিনিয়ত ইনভলেন্টারি শ্বাস নিচ্ছি , শ্বাস ছাড়ছি। কিন্তু কিছুটা সময় যদি আমরা আমাদের এই শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার পুরো প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগ নিয়ে এসে ডীপ ব্রিদিং করি বা এটি প্র্যাকটিস করি তাগলে এটি আমাদের জীবনের জন্য একটি গেইম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে। এই ব্রিদিং এক্সারসাইজ চাপ কমাতে, উদ্বেগ কমাতে , মন কে শান্ত করতে এবং ব্যথা উপশম করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

নিজেকে শিথিল করা এবং পছন্দের কিছু শোনাঃ

পিরিয়ড চলাকালীন, এমন কিছু সময় থাকতে পারে যখন আমরা বেশ অসামাজিক বোধ করি আবার একই সাথে চাই কেউ আমাদের অনুভূতিগুলো বুঝে পারুক। এই সময় পছন্দের অডিওবুক বা পডকাস্ট শোনা একটি সহজ উপায় যা আপনাকে অতি চিন্তন থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। প্রিয়জন বা বন্ধুর সাথে চ্যাট করার সাথে পডকাস্টের তুলনা করাটা হয়তো ঠিক না, কিন্তু অন্যের কথা শোনা তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আপনাকে নতুনভাবে ভাবাতে সাহায্য করবে যা আপনার জন্য মানসিক নিরাময়ের একটি সহায়ক রূপ হতে পারে।

কারো সাথে শেয়ার করাঃ

পিরিয়ডের সময় আমরা স্বভাবতই ডাউন ফিল করি । এই সময় আমরা বিভিন্ন ভাবে কম্ফোর্ট চাই। যেহেতু হরমোনের কারণের আমাদের মধ্যে এক এক সময়ে এক এক ধরণের অনুভূতি তৈরি হয়। ফলে আমাদের মনে তলহন নানা রকম কথা ,ভাবনা ঘুরপাক খায় । এই কথাগুলো বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করতে পারলে আপনার স্বস্তি অনুভূত হতে পারে। শেয়ারিং মানুষকে সুখী ,নিরাপদ অনুভব করাতে সাহায্য করে।

হালকা ব্যায়ামঃ

নিজের পছন্দের জায়গায় কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে ,এতে করে ব্রেইন ক্যামিক্যালস আপনার মুডকে বুস্ট করতে সাহায্য করবে। যোগ ব্যায়ামের কিছু আসন পিরিয়ডের সময় নিরাপদ এবং যা আপনার রিপ্রোডাক্টিভ অর্গানের জন্য উপকারী । এছাড়াও যোগ ব্যায়াম ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে ।

জার্নালিং এবং মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করাঃ

জার্নালিং হল আপনার চিন্তা ,অনুভূতিগুলো কে মাথা থেকে কাগজে উপস্থাপন করা। আপনি কেমন অনুভব করছেন ,কোন বিষয়টি আপনাকে চিন্তিত করে তুলছে , আজকের দিনে কি কি করলেন ইত্যাদি লেখা। এটি এপনার অনুভূতিগুলোকে স্পষ্ট করবে এবং নিজেকে বুঝতে সাহায্য করবে।

একইভাবে মাইন্ডফুলনেস আপনাকে বর্তমানে উপস্থিত রাখতে এবং প্রাণবন্ত অনুভব করতে সাহায্য করবে। আপনার মনোযোগ বাড়াতে ,স্ট্রেস কমাতে, এংজাইটি কমাতে এবং ঘুমের সাইকেল ঠিক করতে সাহায্য করবে।

যদি আপনার মধ্যে এমন কোনো উপর্সগ দেখতে পান যা আপনার এবং আপনার আশেপাশের সকলকে প্রভাবিত করছে ,আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে চ্যালেঞ্জ ফেইস করছেন তবে দ্রুত একজজন সাইকোলজিসট এর সাথে পরামর্শ করুন এবং নিয়মিত কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি নিতে অবহেলা করবেন না।

Download Chondo App

Track your period and get notified.

Download

Beta

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।